বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
বাংলাদেশ ফুটবল দলকে অভিনন্দন ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা বিজয় দিবসে এবারও প্যারেড হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিক সোহেলকে ডিবি তুলে নেওয়ার বিষয়ে যা বলল টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় নারীদের পেছনে রেখে পুরুষরা এগিয়ে যেতে পারবে না : ধর্ম উপদেষ্টা দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা কুড়িলে রিকশার গ্যারেজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট এই অস্থিরতার মুহূর্তে ব্যারিস্টার মওদুদকে খুব দরকার ছিল: ফখরুল তারেক রহমানের জন্মদিনে উৎসব না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদলের বৈঠক তারেক রহমান মানবতার দূত হিসেবে কাজ করছেন : রিজভী

সাংবাদিক সোহেলকে ডিবি তুলে নেওয়ার বিষয়ে যা বলল টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়

দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন হেড ও অনলাইন এডিটর অ্যালায়েন্সের সেক্রেটারি মিজানুর রহমান সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের কোনও সম্পর্ক নেই। অভিযোগের বিষয়টি ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ভোরের কাগজের অনলাইন এডিটর মিজানুর রহমান সোহেলকে কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় বলে খবর পাওয়া যায়।

তবে এর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে জড়িয়ে একটি ভিত্তিহীন প্রচারণা চালানো হয়েছে; যা সকালে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেখানে এনইআইআর বাস্তবায়নের সঙ্গে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে জড়িয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে সত্যের অপলাপ করা হয়েছে।ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থেই আমরা এনইআইআর বাস্তবায়ন করছি। অবৈধ হ্যান্ডসেটের লাগাম টানতে সংক্ষুব্ধ পক্ষের সঙ্গে বিটিআরসি বৈঠকও করেছে।

এত কিছুর পরও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে কোনো কোনো অনলাইন নিউজ পোর্টাল আমার ওপর দায় চাপিয়েছে। তাদের উদ্দেশেই আমার বক্তব্য- এটা অনভিপ্রেত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজ করে। এখানে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকার অবকাশই নেই।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক বা তার পরিবারের পক্ষ থেকেও আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। অথচ একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিককে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, সাংবাদিক মিজানুর রহামানের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত বা পেশাগত কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তারপরও এমন ‘প্রোপাগান্ডা’ মুক্তমত প্রকাশের স্বাধীনতাকেই ভূলুণ্ঠিত করছে।

আমরা মনে করি, এ ধরনের অসত্য তথ্য প্রচার জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। তাই আশা করি, এরপর আর কেউ এ ধরনের লেখায় বিভ্রান্ত হবেন না।প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মধ্য রাতে রাজধানীর নতুন বাড্ডার বাসা থেকে সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেলকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি। পরে বুধবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে মিজানুর রহমান সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার স্ত্রী সুমাইয়া সীমার জিম্মায় ছেড়ে দেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

 

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved bijoykantho© 2025